শৈশব প্রত্যেকের জীবনের মধুর একটি সময়। শৈশব জীবনের দিনগুলি ছিল দুরন্তপনা, দুষ্টুমি আর সারাদিন ছোটাছুটি করে দৌড়ে বেড়ানোর এক অন্যতম মুহূর্ত। আমার শৈশব যেন আজও আমাকে ডাকে বলে আয়-ফিরে আয়।
সত্যিই আজও বার বার ফিরে যেতে মন চায় ফেলে আসা সেই শৈশবের দিনগুলিতে। মনে পড়ে অবাধে ঘোরা ফেরা আর খেলে বেড়ানো সেই সব দিনগুলির কথা। আপনিও হয়তবা শৈশব শব্দটি পড়েই স্মৃতির পাতায় হাতড়াতে শুরু করেছেন ফেলে আসা সোনালি দিনগুলোকে।
কার না মনে পড়ে সেই ছেলে বেলার কথা। দিনগুলি এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে আছে। ছেলে বেলার সেই বন্ধুদের সাথে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি। আজও কাঁদায় ফেলে আসা সেই দিনগুলো।
আমাদের গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলার গোয়াইঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নন্দিরগাঁও গ্রামে। আমাদের গ্রামটি ইউনিয়নের মধ্যে সব চেয়ে বড় একটি গ্রাম। প্রায় ২টি ওয়ার্ড মিলে এই গ্রামটি। সকল পেশাজীবী মানুষ এখানে শান্তিতে বসবাস করে। নেই কোন ঝগড়া, নেই হানাহানি। সকলেই শান্তি প্রিয়।
এখনো যদি সময় পাওয়া যায় তখন বন্ধুদের সাথে দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে অনেক সময় বেরিয়ে আসে সেই পুরাতন দিনগুলোর স্মৃতি মাখা দৃশ্য। চোখের সামনে চলে আসে প্রায় ২০ বছর পূর্বের স্মৃতি। মনে পড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে শিক্ষকদের বকুনি, আবার অনেকে বলেন সব চেয়ে রাগী শিক্ষকের পিটুনির কথাও।সবাই যেন কোথায় হারিয়ে যাই।
তবে গ্রীষ্মকালে স্কুলের পাশে বড় একটি কদম গাছ ছিল। তার নিচে হতো ক্লাস। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে সহপাঠীর সঙ্গে তুমুল ঝগড়া। একপর্যায়ে শিক্ষকের কাঠগড়ায় বিচার। বিরকুলি স্যার এসে সবাইকে একসাথে শাষন করার সেই স্মৃতি আজও মনে পড়ে। কখনো ভুলার নয়। শৈশব স্মৃতি আজও নিজেকে তাড়িয়ে বেড়ায়।মন চায় আবারো ফিরে আসুক আমাদের শৈশব।কিন্তু বাস্তবতায় কখনো সম্ভব নয়।বাস্তবতার সাথে হারিয়ে যায় মোদের শৈশব।
লেখক: ক্বারী মোঃ সিদ্দিক আলী (প্রবাসী, নন্দিরগাঁও)